শশা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকা

 শসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি সবজি। শসা কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যাই। শসা এক প্রকার ফল। কথাই আছে যে ফল খেলে বল বাড়ে আসলেই কথাটা সত্য। শসা খেলে যেমন সক্তি পাওয়া যাই তেমনি অনেক ভেসজ গুন রয়েছে এই শসাই। এই ফলে যদিও ক্যালোরির পরিমান কম থাকে তবে অনেক পানি থাকে। যা আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। 

আমরা সবাই জানি শসা পানি জাতিও ফল। গরমের সময় আমাদের শরীর থেকে পচুর পরিমানে পানি বের হয়ে যাই এর ঘাটতি শসা অনেকটাই পূরণ করে থাকে। এছাড়াও শসা নানান গুনে ভরপুর। শসার আমাদের কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। শসা আমরা অনেক ভাবে খেতে পারি।

শসার কিছু উপকারিতা 

শসা আমরা সবজি হিসেবে  ব্যবহার করে থাকি। শসার রয়েছে নানান ভেষজ গুণ। ত্বকের যত্নে, পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে,অতিরিক্ত মেদ কমাতে শসার বিকল্প নেই। শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান।যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। কিডনি, ব্লাডার ও লিভার সমস্যাই শসা বেশ সাহায্য করে থাকে। 

শসাই এনজাইম থাকার কারনে হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধান করে থাকে। শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারি। শসার রস আলসার ও অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারি।মিনারেল সমৃদ্ধ শসা  নখ,দাঁত ও মাড়ির সমস্যাই সাহায্য করে। 

শসার অপকারিতা 

শসা হচ্ছে, একটি লো ক্যালরি যুক্ত খাবার। শসাতে খুব সামান্ন পরিমান ভিতামিন,মিনারেল এবং  আঁশ থাকে। একটি ভালো খাবার ও মানুষের শরীরে জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাই যখন কেউ তার অতিরিক্ত ব্যবহার করে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য অধিক পরিমানে শসা খেয়ে থাকে ফলে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেই। 

পযা্প্ত পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। কাজ করার সক্তি কমে যাবে। এছাড়াও বদহজম, গাসের সমস্যাসহ পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও রক্তে গ্রুলকজ এর অভাবে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। 

শসা খাওয়ার সঠিক সময়

শসা যদি সকালে খাওয়া হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া জাই।দুপুরেও খাওয়া যাই তবে রাতে শসা না খাওয়াই ভালো। নিয়ম মেনে না খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।সসা সবসমই দিনের  বেলায় খাওয়া উচিত। এ সময়ে শসা খেলে বেশ কিছু  পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া যাই।

শসা খেলে কি গ্যাস হয়

ক্ষুধা নিবারনের জন্য অন্য খাবার এর তুলনাই শসা যদি বেশি খান তাহলে গ্যাস সহ বদহজম,পেট ফাঁপা,পেট ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত শসা খেলে শরীরে  নানান ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে। ফোলা শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। বৃহৎ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া যখন খাদ্য হজম করে না তখন গ্যাস তৈরি হয়।

শসা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?

কিডনি শরীরের গুরুত্বপুণ্য কাজ করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদাথ বের করে দেই। শসার জলীয় অংশ দেহের বজ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। শসা কিডনি পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।শসা কিডনির জন্য একটি  বিশেষ ওষুধ। কিডনি ছাড়াও শসা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। 

পরামস্য

প্রিয় বন্ধুরা, আমি মনে করি দৈনন্দিন জিবনে আমাদের প্রত্যেকের শসা খাওয়া উচিত। কেননা শসা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। সুসাস্থের জন্য শসার কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও শসাই রয়েছে একাধিক গুন। ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করে সসা।এই ভিটামিন ডি এর অভাবেই কিডনির সমস্যা হয়ে থাক।

লেখকের মন্তব্য

আসা করছি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।আমি পোস্টের মধ্যে অনেক সহজ  ভাষাই শসার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবং আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি । এরকম আরও পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন । ভুল ত্রুটি সকলে খমার দিষ্টিতে দেখবেন। পোস্টটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই একটা শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url