গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকা 

 গাজর  আমাদের  শরীরের জন্য  খুবই উপকারি একটি সবজি । গাজর  কাঁচাও খাওয়া যাই আবার রান্না করেও খাওয়া যাই। মুল জাতিয় সবজি গাজর।  গাজর  এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে  (Daucus carota). গাজর খেলে  ত্বক ভালো থাকে। এছাড়াও অসংখ গুনে ভরপুর এই গাজর।

 গাজরে থাকা ভিটামিন  চুল পড়া রোধ করে। প্রতিটি মানুষেরই গাজর খাওয়া উচিত। কেননা গাজরে অসংখ্য ভিটামিন আছে। গাজর পেটের গ্যাসও রোধ করে। এছাড়াও অনেক জটিল রোগ কাছে আসতে পারে না।

গাজর খাওয়ার উপকারিতা

বিটা -ক্যারোটিনের বড় উৎস হল গাজর।গাজর আপনার শরীরে ভিটামিন এর অভাব পূরণ করে। গাজর একটি সবজি জাতীয় ফল। অন্যান্য সবজির তুলনায় গাজর স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী কারণ এতে অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে এছাড়াও রয়েছে কপার যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

নিয়মিত গাজর খাওয়া শরীরের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি করে।।গাজর চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।ত্বকের উজ্জ্বলতায় গাজরের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও গাজর দাঁতের জন্য অনেক উপকারী।

গাজর খাওয়ার নিয়ম

গাজর ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত। কাঁচা খাওয়ার সময় খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত।গাজর বেশিক্ষণ রান্না করা উচিত নয়। গাজর দিয়ে তৈরি খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে খাওয়া উচিত । এছাড়াও গাজর কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়ার চাইতে রান্না করা গাজরে পুষ্টিমান বেশি।
প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত

১০০ গ্রাম পরিমাণ গাজর থেকে ৮২৮৫ মাইক্রগ্রাম বেটা ক্যারোটিন এবং ১৬৭০৬ ওট ভিটামিন -এ পাওয়া যায়।এছাড়াও ৪১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্ত,২.৮খাদ্য আশ,ভিটামিন বি১,ভিটামিন বি২,ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে এছাড়াও ফলেট,পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও কাচা গাজরে রয়েছে ৮৮% পানি, ৯% শর্করা,০.৯% আমিষ।

গাজরের খাদ্য তালিকাগত ফাইবার বেশিরভাগ সেলুলোজ ও হেমিসেলুলোজ। গাজরের সংযোজিত শর্করার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ।

গাজর আমরা জুস করেও খেতে পারি। গাজর আমাদের শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু,ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।একটি মানুষের জন্য প্রতিদিন একটি থেকে দুইটির বেশি খাওয়া উচিত নয়।

গাজরে কোন ভিটামিন থাকে

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি২, ভিটামিন কে এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি১।ভিটামিন সি, আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে,যা গাজর আমাদের যোগান দেয়।

এছাড়াও সুন্দর ও সুস্থ ত্বকের জন্য ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়া ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ভিটামিন ছাড়াও গাজরে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, ফসফরাস, ইত্যাদি থাকে যা হাড় গঠন,নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সেক্সে গাজরের উপকারিতা

গাজর শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন। এগুলো শুক্রানু তৈরি করতে সাহায্য করে। গাজর আপনার শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরে থাকা ভিটামিন এ, যা সেক্স হরমোন প্রজেস্টেরন তৈরি শুক্রাণু তৈরির হার বাড়ায়।

পরামস্য

সুসাস্থের জন্য গাজরের কোন তুলনা হয় না। নিয়মিত  গাজর খেলে অনেক রোগব্যাধির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। গাজরে থাকা ভিটামিন আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই গুরুত্ণ্যশ্চয়ই  ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজর বয়সের সুন্দয্য ধরে রাখে।  বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গাজর খুব গুরুত্ব পুণ্য ভূমিকা রাখে।গাজরের রস জন্দিস এর ঝুকি কমাই।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা, এই পোস্টটি আপনারা যদি সম্পুন্ন পড়ে থাকেন তবে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা। আসলে গাজর খেলা কি হয়। এর কি উপকার এই তথ্য গুল এখন অন্য সবাইকে জানাতে পারবেন। আমার এই পোস্টটি যদি ভালোলাগে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরও পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকুন। পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। কথা হবে পরবত্তি পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url