খাবার স্যালাইন এর ১৫ টি উপকারিতা
খাবার স্যালাইন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান একটা জিনিস। এটি আমাদের শরীরে পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করে।
খাবার স্যালাইন এর 15 টি উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- (১) পেটের সমস্যা: পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পারে এ স্যালাইন যদি কোন ব্যক্তির পেটের সমস্যা হয় অর্থাৎ ডায়রিয়া বা পাতা পায়খানার মত সমস্যা হয় বা লবণের ঘাটতি এবং পানি শূন্যতা ইত্যাদি কারণে যদি পেটের কোন সমস্যা হয় তাহলে এই খাবার স্যালাইন সেগুলো দূর করতে পারে এবং শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে পারে। কারণ স্যালাইন এর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্যাদি।
(২) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে স্যালাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তারা নিয়মিত এই খাবার স্যালাইন খেতে পারে। এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে শরীর সুস্থ স্বাভাবিক থাকে।
- (২) শরীরের শক্তি বৃদ্ধি : শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে এ খাবার স্যালাইন। কারণ এ স্যালাইনে আছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ । এবং আমরা জানি গ্লুকোজ হল শক্তির উৎস , ক্লান্ত শরীরে খাবার স্যালাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । তাই শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে অবশ্যই খাবার স্যালাইন খাওয়া উচিত।
- (৩) খাবার স্যালাইন এটি যেকোনো বয়সের মানুষ খেতে পারবে। যেমন শিশু, বয়স্ক ,প্রাপ্তবয়স্ক, মধ্যবয়সী , গর্ভবতী ইত্যাদি ধরনের মানুষ এ খাবার স্যালাইন খেতে পারে এটি খেলে কোন ক্ষতি হবে না বরঞ্চ উপকার হবে শরীরে।
- (৪) পানি শূন্যতার রোধে: ডায়রিয়া ,বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়।ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। স্যালাইন খেলে শরীরের পানি ও লবণের শূন্যতা রোধ হয় এবং শরীরের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।
- (৫) হজম বৃদ্ধি :স্যালাইন এ থাকা লবণ ও গ্লুকোজ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
- (৬) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের জন্য স্যালাইন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়
- (৭) কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি:স্যালাইন খেলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, এবং কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
- (৮) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা: স্যালাইনে থাকা ইলেকট্রোলাইট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রক্ষায় প্রচুর সাহায্য করে থাকে।
- (৯)১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরস্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়।খাবার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন হচ্ছে ডায়রিয়া বা যে কোন পানিস্বল্পতার মতো রোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী উপাদান।
- (১০) বমি রোধে খাবার স্যালাইন এর কার্যকারিতা: বমি হলে শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় তখন খাবার স্যালাইন খেলে শরীরের দুর্বলতা টা কাটে বমি ভাবটা দূর হয়।
- (১১) আমাশয় রোধে: আমাশয়ের মতো কঠিন ব্যাধিতে খাবার স্যালাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
(১২) কলেরা রোগে খাবার স্যালাইন এর ব্যবহার: ডায়রিয়া কলেরা আমার সয় ইত্যাদির মত ভয়াবহ ব্যাধিতে খাবার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন স্যালাইন দুর্দান্ত কাজ করে থাকে যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
(১৩) বাইরে খেলাধুলা বা কাজ করে আসার পর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে যে ঘাম বের হয় তা থেকে শরীর থেকে অনেক পানি ও লবণ অপসারিত হয় তখন খাবার স্যালাইন এর উপশম হিসেবে কাজ করে। এবং শরীরের সতেজতা ফিরিয়ে আনে।
(১৪) শরীরে গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ: খাবার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন আমাদের শরীরের গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
(১৫) প্রচন্ড গরমে তাপদাহে অনেক সময় শরীর ক্লান্ত লাগে মাথা ঘোরায় তখন এই খাবার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন ম্যাজিক এর মত কাজ করে থাকে যার শরীরকে পুন র্জীবিত করতে সাহায্য করে থাকে।
ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন হচ্ছে শরীরের পানির স্বল্পতা ও লবণের ঘাটতি পূরণ করার জন্য মুখে গ্রহনযোগ্য লবণ ও গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি। ডায়রিয়া বা কলেরায় ঘন ঘন পাতলা পায়খানা এবং অতি গরমে ঘামের কারণে অতি অল্প সময়ে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। ফলে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি মানবদেহেরর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়। পানিস্বল্পতা পূরণ বা রিহাইড্রেশন এসব ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এসমস্থ রোগে যে স্যালাইন মুখে খেতে হয় সেটিই ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন।
-খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার
ডায়রিয়া, কলেরা, বমি, আমাশয়, পাতলা পায়খানা অতিরিক্ত ঘাম বা অন্য যে কোনো কারণ ঘটিত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। খাবার স্যালাইন হলো শরীরের পানিস্বল্পতা ও লবণের ঘাটতি পূরণ করার জন্য পানির সাথে বিভিন্ন লবণ ও গ্লুকোজের মুখে গ্রহণযোগ্য দ্রবণ।
বাজারে মুখে খাবার এই স্যালাইন ওরস্যালাইন-এন, ওআরএস, ওআরএস-এ, নিও স্যালাইন স্যালাইন-আর, ইত্যাদি বিভিন্ন নামে প্রচলিত।বাজারে প্রচলিত খাবার স্যালাইনের প্যাকেটে বা স্যাশেতে স্যালাইন বানানোর জন্য ১০.২৫ গ্রাম প্রয়োজনীয় পাউডার বা গুঁড়া থাকে। এর উপাদান হিসেবে থাকে ১.৩০ গ্রাম সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাবার লবণ, ০.৭৫ গ্রাম পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ১.৪৫ গ্রাম ট্রাই-সোডিয়াম সাইট্রেট ডাইহাইড্রেট এবং ৬.৭৫ গ্রাম এনহাইড্রাস গ্লুকোজ।
খাবার স্যালাইনের এই স্যাশে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে ৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে জরুরি অবস্থায় বাজারে প্রচলিত প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন হাতের কাছে না পেলে সে ক্ষেত্রে বাড়িতেঘরোয়া পদ্ধতিতেও খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়।
খাবার স্যালাইনের দ্রবণ বানানোর শুরুতে অবশ্যই দুই হাত, স্যালাইন বানানোর পাত্র এবং চামচ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রথমে স্যালাইন বানানোর পাত্রে ২ পোয়া বা আধা লিটার বিশুদ্ধ ফোটানো পানি নিতে হবে। এই পানিতে স্যালাইনের প্যাকেটের পুরো পাউডারটিই ঢেলে দিতে হবে। পরিষ্কার চামচের সাহায্যে পাউডার ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিলে তৈরি হয়ে যাবে ব্যবহার উপযোগী খাবার স্যালাইন।
প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইনের পাউডার দিয়ে তৈরি এই ওরাল স্যালাইন একবার পানিতে মেশানোর পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে। যদি ১২ ঘণ্টা পর স্যালাইন পানি অবশিষ্ট থাকে তবে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। কারণ ১২ ঘণ্টা পর সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। এই স্যালাইন পান করলে শরীরে জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। তৈরির পর কোনো অবস্থাতেই স্যালাইন পানি গরমও করা যাবে না। কারণ এতে স্যালাইনের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়।
প্যাকেটজাত খাবার স্যালাইন হাতের কাছে না পেলে নিজেই স্যালাইন তৈরি করে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে আধা লিটার পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। পরে এই পানিতে তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ ও এক মুঠো গুড় মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে পরিষ্কার ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাসায় বানানো খাবার স্যালাইন।
অথবা ১ লিটার ফুটানোর বিশুদ্ধ পানির সাথে আধা চা চামচ লবণ এবং ৬ চা চামচ চিনি মিশিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে নিলেও একইরকম খাবার স্যালাইন তৈরি হয়ে যাবে। এভাবে বাড়িতে তৈরি খাবার স্যালাইন ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে। ৬ ঘণ্টা পর স্যালাইন পানি অবশিষ্ট থাকলে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। একইরকমভাবে একবার তৈরির পর এই স্যালাইন পানিও আর গরম করে ব্যবহার করা যাবে না।
বেশিরভাগ মানুষই খাবার স্যালাইন তৈরির প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ভুল করেন। তাদের ধারণা, যখন বেশি পাতলা পায়খানা হচ্ছে বা পানিশূন্যতা তীব্র, তখন একটু ঘন করে গোলানের স্যালাইন পানি বারবার শিশুকে খাওয়ানো মনে হয় তার সন্তান তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। আবার অনেকেরই বিশ্বাস, শিশু ছোট বলে অল্প অল্প করে স্যালাইন বানাতে হবে
অর্থাৎ স্যালাইনের প্যাকেট পুরোটা না মিশিয়ে সামান্য গুঁড়া নিয়ে অল্প পানি দিয়ে বানানো যাবে—এগুলো কিন্তু একদমই ভুল ধারণা। খাবার স্যালাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। খাবার স্যালাইন বানানোর সময় কোনোভাবেই পানি বা স্যালাইন পাউডারের পরিমাণ কম-বেশি করা যাবে না (যেমন- ২৫০ মি.লি. পানিতে দুই প্যাকেট স্যালাইন মেশানো, আধা লিটার পানিতে আধা প্যাকেট স্যালাইন মেশানো ইত্যাদি); এরকম হলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল তো পাওয়া যাবেই না বরং তা বিভিন্ন শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
কেউ যদি নির্দেশনার চেয়ে অল্প পানিতে স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ান, তাহলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে লবণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাবে। এর প্রভাবে কোষ থেকে পানি বেরিয়ে আসবে, বিশেষ করে মস্তিষ্কের। এ ছাড়া কিডনি বিকল হয়েও পড়তে পারে। একসময় কোষগুলো নষ্ট হবে এবং তা থেকে মৃত্যু হওয়া ও বিচিত্র নয়। এছাড়া কোনোভাবেই স্যালাইনে পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ, স্যুপ, চিনি, বা ফলের জ্যুস বা সফট ড্রিংকস ইত্যাদি মেশানো যাবে না। শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো, কারণ প্রায়শই শিশুদের ফিডিং বোতল পুরোপুরি পরিষ্কার করা ঝামেলা হয়ে যায়।
অনেকে ভেবে থাকেন যে, ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানিশূন্যতার ক্ষেত্রেই কেবল খাবার স্যালাইন ব্যবহার করা যায়। তবে বিষয়টি ভুল। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে মুখে খাবার স্যালাইন বহুল প্রচলিত হলেও আরও বিভিন্ন কারণে শরীরে তৈরি হওয়া লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণে এই ওরাল স্যালাইন ব্যবহার করা যায়।
ডায়রিয়ার পাশাপাশি কলেরা বা আমাশয় হলে, বমি হলে, সূর্যের তাপে অনেকক্ষণ সময় কাটালে, ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে, শরীরের তাপমাত্রা ৩৮°সেলসিয়াস বা ১০০.৪° ফারেনহাইটের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মুখে খাবার স্যালাইন ব্যবহার করে শরীরে সৃষ্ট লবণ-পানির ঘাটতি পূরণ করা যায়।
পানিশূন্যতা তৈরি হলে শরীরে লবণ-পানি প্রতিস্থাপনের বিষয়ে তাড়াহুড়া করা যাবে না; ধীরে ধীরে করতে হবে। তাই খাবার স্যালাইন একবারে অনেকটুকু না খেয়ে একটু একটু করে চুমুক দিয়ে খেতে হবে। শিশুর যদি ডায়রিয়া হয় এবং পানিশূন্যতার তেমন কোনো লক্ষণ না থাকে, সে ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ২ বছরের কম হলে শিশুকে প্রতিবার
পাতলা পায়খানার পরে ৫০ মি.লি. থেকে ১০০ মি.লি. পরিমাণে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। চামচে হিসাব করলে যা ১০ থেকে ২০ চা চামচের মতো দাঁড়ায়। আর শিশুর বয়স ২ বছরের বেশি হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে ১০০ মি.লি. থেকে ২০০ মি.লি. পরিমাণে খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। চামচে হিসাব করলে যা ২০ থেকে ৪০ চা চামচের মতো দাঁড়ায়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরে শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে আবার স্যালাইন খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
আর শিশুর যদি ডায়রিয়া হয় এবং পানিশূন্যতার মৃদু লক্ষণ থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রথম ৪ ঘণ্টার ভেতরে শিশুর বয়স ও ওজন অনুসারে খাবার স্যালাইন দিতে হবে, যেমন- বয়স ৪ মাস পর্যন্ত ওজন ৪ কেজির কম হলে ২০০-৪৫০ মি.লি.> বয়স ৪ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ওজন ৪ কেজি থেকে ১০ কেজি হলে ৪৫০-৮০০ মি.লি.> বয়স ১২ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত ওজন ১০ কেজি থেকে ১২ কেজি হলে ৮০০-৯৬০ মি.লি. > বয়স ২৪ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত ওজন ১২ কেজি থেকে ২০ কেজি হলে ৯৬০-১৬০০ মি.লি।
পানিশূন্যতার লক্ষণ তীব্র হলে শিশু কিংবা বয়স্ক যে-ই হোক না কেন, দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডায়রিয়া হলে শুধু খাবার স্যালাইন নয়, সাথে তরল জাতীয় অন্যান্য খাবারও খাওয়াতে হবে, যেমন স্যুপ বা জুস, ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি। স্যালাইন খাওয়ানোর সময় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখা যাবে না।
শিশু যদি ৬ মাসের বেশি বয়সী হয়, তাহলে অর্ধ-তরল বা শক্ত খাবারও দেওয়া উচিত। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে কমপক্ষে বড় কাপের (২৫০ মি.লি.) পুরোটা থেকে ২ কাপ অর্থাৎ স্যালাইনের প্যাকেটের পুরোটা খেতে হবে।
খাবার স্যালাইন প্রাণ রক্ষাকারী একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কিন্তু এজন্য অবশ্যই শরীরে এর সঠিক অনুপাতে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল প্রয়োগ যেমন ভয়ংকর, তেমনই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘনমাত্রায় খাবার স্যালাইনের ব্যবহার ব্যক্তিকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তেও নিয়ে যেতে পারে। বছরের উষ্ণতম এই দিনগুলোতে তাই খাবার স্যালাইনের হোক সঠিক মাত্রায় যথাযথ ব্যবহার
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url