ফেসবুক আইডি সহজে রেজিষ্ট্রেড করনে যেসব করনীয়
ভূমিকা
বর্তমান সময় এ ফেসবুক পেজ রেস্ট্রিক্টেড ও Facebook ID restricted একটি কমন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মেইন যে কারণ ফেসবুক এর রুলস মতো বুস্ট না দেওয়া,যেমন তেমন পেজ খুলে বুষ্ট করে দেয়া,কপি ইমেজ ব্যবহার করে বুস্ট দেয়া,ETC.Recent ফেসবুকের এড বুস্ট দেওয়ার ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন এসেছে। এই হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। শুধু পেজ এ নয়, facebook আইডি এবং এড একাউন্ট এর উপর ভীষণভাবে চড়াও হয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক একাউন্টের রেস্ট্রিকশন কি
আমার অনেকই ফেসবুক একাউন্রেট স্ট্রিকশন কী।আমরা প্রত্যেকেই facebook ব্যবহার করি এবং মাঝে মাঝে আমরা ফেসবুক বিষয়ক বিভিন্ন জটিল সমস্যা ভুগি। আপনারা যদি কখনো রেস্ট্রিক্টিকেশন জনিত জটিলতায় ভুগে থাকি তখন অবশ্যই আমাদের বুঝতে হবে কোন কারণে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড করেছে।ফেসবুক রেস্ট্রিক্টেড বিষয় আমার অনেকেই বুঝতে পারি না।
আসলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের নিয়ম বা নীতিমালার রয়েছে। আর যদি এ নিয়ম বা নীতিমালা কোন কারণে ভঙ্গ হয় তাহলে ফেসবুক এটা যদি ডিটেক্ট করতে পারে তাহলে ফেসবুক আপনার একাউন্টের রেস্ট্রিক্টেড করে দিবে। আবার এর রেস্ট্রিক্টেড ভিন্ন ধরনের রয়েছে৷ আপনি যদি কপি পোস্ট করেন আর সেটা যদি ফেসবুক ধরতে পারে তাহলে ডেসক্রিপশন হয়ে যাবে।
তবে রেস্ট্রিকশন এর সমস্যা কিছু সময়ের জন্য হতে পারে। মূলত আপনার রেস্ট্রিকেশন ৩০ দিনের জন্য হয়। এরপর ফেসবুক অটোমেটিক্যালি আপনার একাউন্ট ফিরিয়ে দিবে। তবে যদি ফেসবুকে একাউন্ট স্বাভাবিকভাবে চালাতে চান facebook এর নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার কারণ:
অনেক সময় পেজ খুললেই post এর নিচে লেখাগুলো দেখা যায়"boost unavailable".ক্লিক করলে মেসেজ দেখা যাবে"page not allowed to advertise - you cannot create ads or promote your page because it's testricted from advertising".আপনি যদি ফেসবুকের কোন রুলস ভঙ্গ করেন তাহলে এ সমস্যা হতে পারে।
অথবা আপনি এমন কোন এজেন্সি থেকে বুস্ট করিয়েছেন যারা প্রোপারলি বুস্ট করেনি।অর্থাৎ এডভার্টাইজিং পলিসি মেইনটেইন করেনি। অথবা কুপন থ্রেসহোল্ড ইউস করেছে যার কারণে সমস্যা হয়েছে। যেসব কারণে সমস্যা গুলো হয়:
- বার বার এড রিজেক্ট হওয়া: একটা ফেসবুক পেজ বা আইডি থেকে যদি বার বার এড রিজেক্ট হয় তাহলে ফেসবুক ওই পেজ বা আইডি কে এড রেস্ট্রিক্টেড করপ দেয়।
- পেমেন্ট ডিউ রাখা:অনেক পেজ বা আইডিতে বুস্ট দেওয়ার সময় পেমেন্ট ডিউ রাখে।এই ডিউ পেমেন্ট মা করে পুনরায় অন্য এড অ্যাকাউন্ট থেকে পেজ বা আইডিতে আবার বুস্ট করে এবং এই কাজ বার বার করে। এমতাবস্থায় ফেসবুক পেজ বা আইডি সিস্টেম বুঝতে পারে না।বার বার পেমেন্ট ডিউ থাকলে ওই পেজ বা আইডিকে রেস্ট্রিক্টেড করে দেওয়া হয়।
- এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ হওয়া : পেজ বা আইডি যদি add boost করতে গিয়ে বার বার এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ হয় তবে ওই পেজ বা আইডি এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেবে।
- ফেক আইডির এডমিন: পেজের মধ্যে যদি একাধিক ফেক আইডি এর এডমিট থাকে এবং verify করার সময় যদি সেগুলো ধরা পড়ে তখন ফেসবুক ওই পেজকে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়।
- কপিরাইটেট কন্টেন্ট ব্যবহার: আমরা অনেকে যেন হোক আর না জেনেই হোক নেট থেকে ইমেজ এবং ভিডিও ডাউনলোড করি এবং অনুমতি ছাড়াই সেগুলো অহরহ ব্যবহার করে থাকি। অন্যজনের কপিরাইট করা কন্টেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা অন্যায়।সেগুলো কন্টেন্ট গুলোতে বুস্ট করা ঠিক নয়।
- বার বার এড অ্যাকাউন্ট চেঞ্জ করা: অনেকেই এক দিন এখানে তো আবার এক দিন ওখানে বুস্ট করে থাকে। অনেকের মধ্যে এ রকম হয়ে থাকে। তারা মনে করে এখানে রেজাল্ট কম পাচ্ছি সেখানে হয় তো রেজাল্ট ভালো পাবো। এ ভুলের কারণে ফেসবুক মনে করে সে ডিউ রেখে দিচ্ছে বিভিন্ন এড অ্যাকাউন্টে তাই ফেসবুক সেই পেজ বা আইডি কে রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়।
- Facebook এর বাগ জনিত কারণ: ফেসবুক সে নিজেও স্বীকার করে। Covid এর কারণে ফেসবুক এর ম্যাক্সিমাম ইন্টারনাল বিষয় গুলো তাদের সফটওয়্যার দেখা শুনা করে থাকে।তাই এই কারণে অনেক আইডি বা পেজে সমস্যা না থাকার পর ও রেস্ট্রিক্টেড হচ্ছে্
কি ভাবে বুঝবো ফেসবুক আইডি বা পেজ রেস্ট্রিক্টড হয়েছে
প্রথমে আমরা আমাদের পিসি থেকে একাউন্ট কোয়ালিটিতে চলে যাবো।এরপর ভিউ মাই একাউন্টে গেলেই দেখতে পাবো আমাদের আইডি বা পেইজ কি কি রেস্ট্রিকশন দিয়েছে।এছাড়াও আমাদের ফোন থেকে "বুস্ট আনএভেইলেবল","পেইজ নট এলাউড টু এডভার্টাইজ" লেখা দেখতে পারবেন। আমাদের সর্তক হতে হবে।
আমার যখন পেজ বা আইডি বুস্ট করো তখন খেয়া রাখতে হবে পেমেন্ট যেন ডিউ না হয়। আপনার ফেসবুক একাউন্টের সাথে যদি পেমেন্ট মেথড এর ঠিকানা যদি ঠিক না থাকে, যদি অন্য দেশের হয়, কার্ড হোল্ডারের নাম এবং একাউন্টের নাম যদি মিল না থাকে, তাহলে আপনার এড একাউন্ট ফ্লাগ করে দেয়া হয়। আপনার বুস্ট থাকাও পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়।
আবার অনেকেই কম দামে বা ১০০ টাকার নিচে বুস্ট করে নেয়,যা ৯৯% ফেক ডলার বা Threshold বা কুপন ব্যবহার করে।এখন সমস্যা হলো এদের ৯৯% মিস গুলো ব্যবহার করে ফেসবুক কে ফাকি দিচ্ছে।এর ফলে ফেসবুক যখন বুঝতে পারে সে সময়ে আপনার পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। ফেসবুকের এড পলিসি গুলো খুব ভালো ভাবে দেখে নিন,কি পোস্ট দেওয়া যাবে আর কি পোস্ট দেওয়া যাবে না। আার তা নাহলে এড অ্যাকাউন্ট অফ করে দিবে।
এই সমস্যায় করনিও কাজ
- আগে ফেসবুক আইডি এর সকল ইনফো চেক করুন যে ওকে আছে কি না।
- আপনারা ফেসবুক আইডি বা পেইজে এমন কিছু রাখবেন না যেগুলো ফেসবুকের সমস্যা হয়।
- প্রথমে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করে নিবেন।
- এরপর ফেসবু কে আপিল করুন রিভিউ দেওয়ার জন্য।
- কোনো পর্ণগ্রাফি বা অশ্লীল ছবি ফেসবুক পোষ্ট করবেন না।
- মেসেজে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার বা গালাগালি করবেন না।কারণ এসব কে ফেসবুক ভেবে নেবে হ্যারেজমেন্ট।
- কোন অপরিচিত অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ফেসবুক আইডিতে আসতে দিবেন না।আপনার একাউন্ট এ কারণে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- কোন অ্যাপ বা কোন সাইটের লিংক বারবার পোস্ট বা কমেন্টে শেয়ার করবেন না। এটা ফেসবুক স্প্যামিং হিসেবে মামলা করে দেয়।
- কোন অপ্রীতিকর ছবি বা রক্ত বীভৎস ছবি ফেসবুকে পোস্ট করবেন না। অথবা নেশা জাতীয় দ্রব্যের ছবি পোস্ট বা বিক্রি করা চেষ্টা করা যাবে না।
- এমনকি ফেসবুকের বিরুদ্ধে কোন পোস্ট করলে সেটা শেয়ার করা যাবে না। আর এটা যদি ফেসবুক দেখতে পায় তাহলে আপনার একাউন্ট অবশ্যই হারিয়ে যাবে।
উপরে মাথায় রাখতে হবে। আর ফেসবুক ব্যবহারের সময় কোন ধরনের Vpn ব্যবহার করা যাবে না। তবে যদি আপনার একাউন্ট রেস্ট্রিক্টড হয়ে যায় তাহলে আপনি যদি আবেদন করেন তবে একমাস অথবা ৪৫ দিনের মধ্যেই আপনার একাউন্ট ফেসবুক ফিরিয়ে দেবে। কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ আপনি অনেক বেশি নীতিমালা লংঘন করেছেন এই কারণে হয়তো ফেসবুকের বেশি সময় লাগছে আপনার অ্যাকাউন্টের রেস্ট্রিক্টড তুলে নিতে।
পরামর্শ
আমরা আমাদের ফেসবুক আইডিতে ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুকের আইন মেনে চলতে হবে। তাহলে আমাদের আইডি বা পেইজ রেস্ট্রিক্টেড হবে না।এছাড়া আমাদের ফেসবুক আইডি বা পেইজে কোন রকম অশ্লীল ভিডিও বা ছবি ছাড়া যাবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url